নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় হাবিবুর রহমান (৪৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নোয়াখালী শাখাকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে রাকিব আহসান কথিত সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসিনসহ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সেজে রোগী দেখে আসছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাওনাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগেরও বিভিন্ন জেলায় ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত।
জানা গেছে, র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস দল দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসক ডা. রাকিব আহসানের ওপর নজরদারি করে আসছিল। র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। জানতে পারে ডাক্তার না হয়েও রাকিব আহসান নামে একজন ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা পূর্বক রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত।