নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পরীক্ষামূলকভাবে বিইউ সয়াবিন-৪ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাওয়া গেছে। এতে সয়াবিন চাষে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে চরাঞ্চলের কৃষকের মাঝে। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের সয়াবিন চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের অর্থায়নে ‘সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সয়াবিন’ প্রকল্পের মেগা মাঠ দিবসে এমন আশার কথা জানান উপস্থিত কৃষকরা। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে আমরা বিভিন্ন ফসলের নতুন জাত সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। বিইউ সয়াবিন-৪ চাষে সফলতা পেয়েছি। এটি ভবিষ্যতে আরো বেশি চাষ করতে চাই।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘সয়াবিনের নতুন এ জাত কীভাবে আরো উন্নত করা যায়, এ নিয়ে আরো গবেষণা করা হবে। কৃষকরা নতুন উদ্ভাবিত তেলবীজটি চাষে যে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাতে আগামী পাঁচ বছরে তারা দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছি।’ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বলেন, ‘এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের সয়াবিন চাষ করে আসছেন। যেগুলোর হেক্টরপ্রতি ফলন ছিল ১ দশমিক ৫টন। আর বিইউ সয়াবিন-৪-এর পরীক্ষামূলক চাষে ফলন পাওয়া গেছে হেক্টরপ্রতি চার টনের কাছাকাছি। তাছাড়া বিইউ সয়াবিন-৪-এর জীবৎকাল অন্যান্য জাতের সয়াবিনের চেয়ে ২০ দিন কম। অর্থাৎ কৃষকরা এ সয়াবিন চাষ করলে ২০ দিন আগে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে সলিডারিডাড বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে কৃষকের মাধ্যমে বিইউ সয়াবিন-৪ চাষাবাদ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সার ও বীজ সহযোগিতা করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০৫ টন উন্নত জাতের সয়াবিনবীজ পাওয়া যাবে।