টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলার আট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসিদের। এখনও পানিবন্দি হয়ে আছেন ১২ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলায়।
বৈরি আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে।রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাফেরা অনেক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। গত দুদিন নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক উচ্চতা থেকে অনেক বেশি পানি বেড়েছে। জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন রিকশাচালক ও শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। পানিবন্দি অবস্থায় অনেকের জীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এ যেন থামার নামই নেই!
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে না। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ১২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৯ হাজার ৩২০ জন মানুষ।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ত্রাণ কার্যের জন্য আমরা ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, ১ হাজার ৭৭৩ মেট্রিকটন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ৫ লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করেছি। এখনও সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, ২৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য মজুদ রয়েছে। বানভাসি কোনও মানুষ যাতে খাদ্যাভাবে কষ্ট না পান সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।