ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি ২০ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ যেখানে যথারীতি ওপেনার দুজন ব্যর্থ হয় রান করতে। লিটন সাজঘরে ফিরেন অত্যন্ত বাজেভাবে আর বাদ জাননি দলে ফেরা পারভেজ ইমনও। ৮ রান করে তিনিও ফিরেন সাজঘরে।
এরপর শান্ত চেস্টা করলেও একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ।নাজমুল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুটি মাঝারি ইনিংস বাংলাদেশের রানটাকে কোনোরকমে ১২৭–এ নিয়ে যায়।টি ২০ এবং ভারত বিবেচনায় এই রান ছিল খুবই কম এবং বাংলাদেশও ভুল করেনি তাঁদের চিরচেনা বাজে ব্যাটিং প্রদর্শন করতে। ৪৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয়ই বলে দেয় কতটা কম ছিলো এই রান পিচ বিবেচনায়।
ছোট রানকে একদমই সহজ বানিয়ে ফেলে ভারতের ব্যাটাররা।শুরু থেকেই চওড়া হতে শুরু করে বাংলাদেশি বোলারদের উপর। মনে হচ্ছিলো ভারতের মনের কথা "শুভ কাজে দেরি কিসের"। এই ছোট রান তাড়া করতে তাই চওড়া হতে শুরু করে ভারতীয় দুই ওপেনার। অভিষেক, সূর্যকুমারের পর হার্দিক পান্ডিয়ার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১.৫ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ভারত। এর মাধ্যমেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত।
তাওহীদ হৃদয়ের ১ ওভার মেইডেন দেয়া থেকেই মূলত খেলার মোড় ঘুরতে থাকে। এইদিন অভিষেক হওয়া ভারতীয় বোলার মায়াঙ্ক যাদবের প্রথম ওভার মেইডেনের পর যখন প্রেশার ক্রিয়েট হয়,তার পরের ওভারেই আউট হন হৃদয় এবং আরো চাপে পরে বাংলাদেশ। টি২০ ক্রিকেটে মোমেন্টাম ক্যারি করাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। এর আগের বরুণেরওভারে নিলেন ১৫ রান, বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ৩৯।
এদিন বাজেভাবে ব্যর্থ হয় বোলিং ইউনিটও। বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট বিগত বেশ অনেকদিন থেকেই ভাল পারফর্ম করে আসলেও আজ কোনো প্রকারের প্রতিরোধই গড়তে পারেনি ভারতের পক্ষে। খরুচে ছিলেন তাসকিন,ফিজ দুই পেসারই।