নিদ্রা হলো আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ও উপকারিতা মেয়াদ কাটানোর জন্য একটি মৌলিক অংশ। ঘুম হলো শরীরের কোষ এবং শরীরের প্রতিটা অঙ্গের বিশ্রাম। আমাদের শরীর কোনো যন্ত্র নয়। যন্ত্রে আপনি বিদ্যুৎ বা জ্বালানি দিলে তা চলতেই থাকবে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ার আগ অব্দি।
সারাদিনের কাজের পর শরীরে ঘুমের প্রয়োজন হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমের দরকার হয়। যা পুরো দিনের ৩ ভাগের এক ভাগ।ঘুমের ফলে আমাদের শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি,বিষাদ কেটে যায়।শরীরে অত্যধিক খাটনির সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু সবথেকে বেশি। শুধু খাটলেই হল না বরং শরীরকে একটু হলেই রেহাই দিতে হবে। রাত করে ঘুমানো কিন্তু একেবারেই ভাল না। মনে রাখতে হবে পরের দিন কাজ করার জন্য ঘুমানো খুব দরকার। ঘুম যে শুধু ক্লান্তি দুর করে এমন নয় বরং দেখা যায়, এটি শরীরের নানা উপকারে আসতে পারে।
বর্তমান সময়ে তরুন প্রজন্মের বেশিরভাগ রাত জাগে। ঘুমোতে যায় ভোরবেলা বা মাঝরাতে। এদের মাঝেই পরে ডায়েবেটিস,স্থুলতা,ডিপ্রেশন,মাথা ব্যাথা এবং চোখের সমস্যা সহ নানান জটিল রোগ বাসা বাঁধে। তরুন প্রজন্মের একটা বড় অংশ মানুষিকভাবে ডিপ্রেশনে ভোগে। যার অন্যতম কারণ এই অনিদ্রা।মাথা ঠান্ডা রাখতে ঘুমের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। ঘুম যদি ঠিক পরিমাণে সঠিক সময় জুড়ে হয় তবে অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে।
ঘুমের কারণে ইমিউনিটির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ শরীরে শুধু খাবার গেলেই হল না। একে বুস্টিং এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হয়। ফলেই ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। খাবার খাওয়ার পর শরীরকে শান্ত রাখা খুব দরকার।
রাত জাগার কুফল অনেক ভয়বহ হতে পারে। চোখের নিচে কালি পরা, হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি,আয়ু কমে যাওয়া,ওজন বাড়া,মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া,চেহারায় মলিনত্দেহ ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা,হজমে সমস্যা,হরমোনাল সমস্যা,ডায়েবেটিসসহ নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। রাতে দেরি ঘুমানোর কারণে দিনের প্রথম অংশে ব্যক্তির কর্মক্ষমতা ও শক্তি কম থাকতে পারে।
নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হতে চাইলে আজই ত্যাগ করুন রাত জাগা।