চেন্নাইয়ের স্লো টার্নিং উইকেটে অজিদের ব্যাটিং যে এভাবে ভেঙে পরবে এটা অবশ্য অনুমেয় ছিলোনা।যদিও এই পিচের এভারেজ স্কোর বেশি না।অধিনায়ক কামিন্স টস জিতে ব্যাটিং নেয়াতে জন্ম নেয় অনেক সমালোচনার।
স্বাগতিকদের জয়টা অবশ্য সহজে ধরা দেয়নি। স্পিন দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে থামিয়েও জিততে কষ্টই হয়েছে ভারতের। ২ রানে প্রথম ৩ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে রোহিত শর্মার দল। মিচেল মার্শ ক্যাচ না ফেললে দলের ২০ রানে বিরাট কোহলিও আউট হতে পারতেন। সুযোগটা তিনি লুফে নিয়েছেন দুই হাতে। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দেড় শ ছাড়ানো জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন ভারতের ৬ উইকেটের জয়। প্রথম ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের স্বস্তির শুরু পেয়ে গেল ভারত।
অজিদের দলে অভিজ্ঞ স্পিনার কেবল একজন ছিল,এডাম জ্যাম্পা।আর একজন স্পিনার নিয়ে এই পীচে খেললে তাঁর মাশুল আপনাকে দিতেই হবে।অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েল একজন পার্ট টাইমার।আর ভারতের ছিল কুদিপ,অশ্বীনের মত স্পিনার।
স্মিথ আর ওয়ার্নার জুটি বাঁধার করার চেস্টা করলেও বেশিদূর যায়নি তাঁদের জুটি।এই দুইজন বাদে কেউ রানও করতে পারেনি।ফলে ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায় মাইটি অজিরা।
ব্যাটিং করতে নেমেই বিপর্যয়ের মুখে পরে ভারত।মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারায়।এরপর কোহলির ক্যাচ ছাড়ে মিচেল মার্শ। আর সেই কোহলি ৮৫ করেন।জুটি বাঁধে লোকেশ রাহুলের সাথে যে করে ৯৭ রান।আর এই দুইজনের জুটিতে ভর দিয়ে জয় পায় স্বাগতিকরা।কোহলি ৮৫ তে ফিরলেও অপরাজিত থাকে রাহুল।হন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।অজিদের হয় ৩ উইকেট নেন হ্যাজলউড।
এই চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ম্যাচ দেখে কতটা ধারণা নিতে পারে।যেখানে দলে আছে বেশ কিছু কোয়ালিটি স্পিনার।