গতবারের টি২০ বিশ্বকাপে ম্যাচটি ছিল অ্যাডিলেডেতে।এবারকার ম্যাচ হলো ধর্মশালায়।আর ফলাফলও একই। বদলেছে ফরম্যাট,বদলায়নি ফলাফল।ডাচদের এক অবিশ্বাস্য জয়।এক জয় যা টুর্নামেন্টকে করলো আরো চাঙা।প্রথমে আফগানরা জিতলো ইংলিশদের সাথে,আর এবার ডাচরা সাউথ আফ্রিকার সাথে।
গত নভেম্বরে ২০ ওভারের বিশ্বকাপে ১২ রানে জয়ের পর আজ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৩৮ রানে জিতল ডাচরা।তবে ডাচরা দাবি করতে পারে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের মতো দুই টেস্ট খেলুড়ে দলকে পেছনে ফেলেই কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছি!’ সুযোগ পেয়ে যে শুধুই সংখ্যা পূরণ করতে বিশ্বকাপে যায়নি তারা, সেটির প্রমাণ তো পেয়েই গেল ক্রিকেট বিশ্ব। নির্মম ক্রিকেট খেলে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা শিকার হয়ে গেল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটনের।
১৪০/৭ থেকে ডাচেরা করে ২৪৬/৮। যার মূল নায়ক দলের কাপ্তান এডওয়ার্ড। ২১তম ওভারে পঞ্চম উইকেট পতনের পর উইকেটে আসা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন। তাঁর ৬৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ১০ চার ও ১ ছক্কায়। শেষ দিকে তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন রোলফ ফন ডার মারওয়ে ও আরিয়ান দত্ত।টার্গেট ২৪৫
আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া কুইন্টন ডি কককে নিয়ে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৭.৫ ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার রানটাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ৩৬-এ। অষ্টম ওভারের শেষ বলটাতেই পতনের সূচনা প্রোটিয়াদের। অফ স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যানের করা বল একটু লাফিয়ে ওঠে ডি ককের গ্লাভস ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় এডওয়ার্ডসের উইকেটকিপিং গ্লাভসে। ৭ বল পর রোলফ ফন ডার মারওয়ের বাঁহাতি স্পিনে বোল্ড প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে হেল ৩৯/২। কী আশ্চর্য, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাভুমা যখন আউট হলেন তখনো দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৩৯/২!
আরও দুই ওভার না যেতেই ডাগআউটে অধিনায়কের সঙ্গী এইডেন মার্করাম ও রেসি ফন ডার ডুসেনের মতো দুই ব্যাটসম্যানও। মারওয়েকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আরিয়ান দত্তকে ক্যাচ দেন ৪ রান করা ডুসেন। এর আগের ওভারেই পেসার পল ফন মিকেরেন বোল্ড করে দিয়েছেন মার্করামকে।
মিলার একা চেস্টা করলেও আর পারেনি।শেষে কেশাবও অবশ্য চেস্টা করেছেন সফল হননি।ম্যাচটি ৩৮ রানে জিতে নেয় ডাচরা।