বিশ্বকাপের ২য় ম্যাচে আগামীকাল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।ধর্মশালায় ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টায়।
ইংল্যান্ডের সাথে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আছে কিছু স্বরণীয় মুহূর্ত। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে শফিউল-রিয়াদের ফিনিশিং এবং ২০১৫ সালের রুবেলের ২ ইওর্কারে থ্রি লায়ন্সদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেয় টাইগাররা।সেই স্মৃতিকেই আগামীকাল একবার জাগিয়ে তুলতে চাইবে বাংলাদেশ।ব্যাপারটা সহজ না,কঠিনই অনেক কিন্তু ক্রিকেটে অসম্ভব বলতে কিছু নেই।
প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে সাকিববাহিনী।কিন্তু প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে হারার পর এই ম্যাচে আরো আক্রমনাত্বক খেলে ম্যাচ নিজেদের করে নিতে চাইবে থ্রি লায়ন্স।এমনটাই আভাস দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের অল রাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন।চোটের জন্য প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি স্টোক্স।এই ম্যাচেও স্টোক্সকে না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ইংল্যান্ডের কারণ প্র্যাক্টিসেও স্টোক্সকে ফিট বা কমফোর্টেবল দেখা যায়নি।যথেষ্ট ব্যালেন্সড সাইড ইংল্যান্ড কালকে চাইবে জয়ের ধারায় ফিরতে।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে একদম মনের মত শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ।যেকোনো বড় টুর্নামেন্টে শুরুটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগামীকালকে দলে যেমন আসতে পারে পরিবর্তন, তেমনি চেঞ্জ হতে পারে ব্যাটিং অর্ডার।এমনটাই শুনা যাচ্ছে বিগত ২-১ দিন থেকে।লিটনের অফফর্ম হয়তো লিটনকে ওপেনিং থেকে একটু নিচে খেলানোর কারণ হতে পারে।অন্যদিকে কালকে নাসুম/মাহেদি এই দুইজনের একজনের সংযুক্তি হতে পারে রিয়াদের জায়গায়।
রিয়াদের থেকে দল আগের মত বোলিং সুবিধা পাবেনা।কিন্তু একজন বাড়তি বোলারের দরকারে হয়তো দলে ঢুকতে পারেন নাসুম কিংবা মাহেদি। ধর্মশালার উইকেটে সুইং এবং বাউন্স আশা করলেও বাউন্সই দেখা গেছে।সুইং ওইভাবে দেখা যায়নি।তবে মিরাজ/সাকিব ডুয়ো ভালো করায় আগামীকাল দেখা যেতে পারে বাড়তি একজন স্পিনার।আর আউটফিল্ড যে বাজে তা নিয়ে অনেক আলাপই হয়েছে।এই ভেন্যুতে ম্যাচ ক্যান্সেল করে রিজার্ভ ভেন্যুতে নেয়ার পরামর্শ দিলেও তাতে সাড়া দেয়নি আইসিসি।এ নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ইয়ন মরগান বলেছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ বড় খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তরুণ খেলোয়াড়েরা এগিয়ে এসেছে। শান্ত (নাজমুল হোসেন) ও মিরাজের মতো খেলোয়াড়েরা চাপ সরিয়ে দিয়েছে। যেটা সাধারণত বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা করে থাকে। তারা যদি এটা করে যেতে থাকে, তাহলে আগামীকালের ম্যাচে সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স আর নেতৃত্বে সাহায্য করবে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হেরাথ দিয়েছেন কিছু প্রশ্নের উত্তর ।বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে শিষ্যরা ভালো করলে কার খারাপ লাগে! ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও স্পিনাররা এমন ভূমিকা রাখতে পারবেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে হেরাথ বলেছেন, ‘স্পিনাররা ভালো করেছে। তবে তাদের দক্ষতার বাইরে বড় বিষয় হলো তারা উইকেটটা বুঝতে পেরেছিল (প্রথম ম্যাচে)। এরপর তারা পরিস্থিতি বুঝে বল করেছে। আমি নিশ্চিত, (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) এ দুই স্পিনারই (সাকিব ও মিরাজ) বল করবে, কন্ডিশন বুঝে পিচের চরিত্র অনুযায়ী তারা বল করবে।
’ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এই ম্যাচটি নতুন পিচে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের পিচ ব্যবহার করা হবে না।
আমাদের নজরে কালকে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে সাকিব,শান্ত এবং মিরাজ।অপরদিকে ইংল্যান্ডের জস বাটলার এবং মার্ক উডের দিকে থাকবে বাড়তি নজর।