দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয়টি আসন থেকে ৩২ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সই করা বার্তাশিট বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের আটভাগের এক ভাগ পেতে হবে। সে হিসাবে নোয়াখালী-১, ৫ ও ৬ আসনে পরাজিত সবাই তাদের জামানত হারিয়েছেন।
নোয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন, জামানত হরিয়েছেন ছয়জন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৮৯ হাজার ৩২৫ জন। নির্বাচনে ১২৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৭১ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে এক লাখ ৫৯ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এইচএম ইব্রাহীম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূইয়া ফুলের মালা প্রতীকে দুই হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো অন্যরা বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক ডাব প্রতীকে দুই হাজার ৩৩৩, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের শাহ আলম চেয়ার প্রতীকে দুই হাজার ৯১, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মমিনুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে এক হাজার ৮৮৯, জাসদের হারুন অর রশিদ মশাল প্রতীকে এক হাজার ৮১০ ও গণফ্রন্টের খোরশেদ আলম মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭৭ ভোট পেয়েছেন।
নোয়াখালী-২ আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন, জামানত হরিয়েছেন পাঁচজন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ১০ হাজার ৭০৩টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকে ৭৫২ ভোট, কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার হাতঘড়ি প্রতীকে ১৬১ ভোট, জাসদের নইমুল আহসান মশাল প্রতীকে ৩৬৫ ভোট, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ টেলিভিশন প্রতীকে ২১৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৯ ভোট।
নোয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন, জামানত হরিয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৭৩ হাজার সাতজন। নির্বাচনে ১৪৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৯ হাজার ৪৬৭টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন চাকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩২ ভোট, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪৮ ভোট, জাসদের জয়নাল আবেদীন মশাল প্রতীকে ১৪৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১১৮ ভোট।