নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের চার কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণসহ স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি পাঁচ বছর আগে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের পাসপোর্ট জব্দসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ করলেও অভিযুক্তরা এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
অভিযুক্তরা হলেন, জেলা প্রশাসনের সংস্থাপন শাখার (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) অফিস সহকারী মো. আবদুল মুকিত, এস.এ (এস্টেট একুইজিশন) শাখার অফিস সহকারী আবদুর রহিম, এল.এ (ল্যান্ড একুইজিশন) শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা ও একই শাখার অফিস সহকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর সাবেক জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌসের নেতৃত্বে ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত অভিযুক্তরাসহ আরও কিছু অসাধু কর্মচারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে গণপূর্তের রেকর্ডীয় জমি খাস দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বন্দোবস্ত, ঘুষ নিয়ে কর্মচারী বদলি, পদোন্নতি ও লোকজনকে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া চার কর্মচারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করে চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।