শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর ২৫টি গাড়ির টোল পরিশোধ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা প্রথম টোল দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (উড়ালসড়ক) যাত্রা শুরু করেন।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দ্রুতগতির প্রথম এ উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন তিনি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর।
প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহরে ২৫টি গাড়ির জন্য টোল বাবদ ২০০০ টাকা পরিশোধ করেছেন। বহরের গাড়িগুলো প্রতিটি ৮০ টাকার টোল স্ল্যাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলো বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাত্র ১৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্তে পৌঁছায়। যোগাযোগের নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশ। অবশেষে অপেক্ষা ঘুঁচলো এয়ারপোর্ট যাত্রীদের সহ সমগ্র ঢাকাবাসীর। উদ্বোধন হলো দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
প্রথম যাত্রী হিসেবে বিকেলে কাওলা প্রান্তে টোল দেয়ার পর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গাড়িবহন নিয়ে পাড়ি দেন ফার্মগেট প্রান্ত। ঐতিহাসিক এ মাহেন্দ্রক্ষণে সরকার প্রধানের সঙ্গী হন ছোট বোন শেখ রেহানা ও। এরপর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশে আসেন শেখ হাসিনা।
সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক) ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন করবে।
এর আগে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি মোনাজাতে অংশ নেন।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সাধারণ যানবাহন উড়ালসড়কে চলাচল করতে পারবে। আর তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করছে সরকার। দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এ উড়ালসড়ক। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র্যাম্পসহ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উড়ালসড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পুরো পথ চালু হলে তা যানবাহনে পাড়ি দিতে ২০ মিনিট লাগবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পাড়ি দিতে লাগবে ১২ মিনিট।