আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এলেন সাকিব।তাকে পেয়ে নানান ধরনের প্রশ্নও করেছেন সাংবাদিকরা।
নিজের ফিটনেস নিয়ে সাকিবের কথা শুনে বুঝা যাচ্ছে কাল তিনি খেলবেন।তবে কাল খেলছে না তাসকিন।ঘাড়ে এখনো ব্যাথা অনুভব করায় কালকের ম্যাচেও অনুপস্থিত থাকবেন তাসকিন আহমেদ।সাকিব বলেছেন এমন, ‘চিকিৎসক, ফিজিও মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই দুই ম্যাচে সে বিশ্রাম নিলে শেষ চার ম্যাচে খেলতে পারবে। তাসকিন অবশ্যই আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমরা তাকে টুর্নামেন্টের মাঝখানে হারাতে চাই না। আর আমাদের হাতে তাসকিনের বিকল্পও কেউ নেই। তাই তাকে বিশ্রাম দেওয়াই ভালো, যেন সে শেষ চার ম্যাচ খেলতে পারে।’
আগামীকালকেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে আফ্রিকা।যদিও তারা ডাচদের সাথে হোঁচট খেয়েছে কিন্তু পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তারা আছে দারুন ছন্দে।বাভুমার ইঞ্জুরিতে বর্তমান অধিনায়ক মার্করাম বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে নারাজ।গত বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশের কাছেই হার বরণ করতে হয়েছিলো প্রোটিয়াদের। মার্করাম বলেছেন , বিশ্বকাপে এরই মধ্যে দেখা গেছে যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। আর বিষয়টা না মানলে তার সাজাও পেতে হবে। তাই নিজেদের কাজটাই ঠিকঠাকভাবে করার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে চান জানিয়ে মার্করাম আরও বলেছেন, ‘তাই আমার মনে হয় কাল আমাদের আত্মবিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ, যেমনটা আমরা ইংল্যান্ড ম্যাচ থেকে নিয়েছিলাম। আমরা চেষ্টা করব সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে। এটাই চ্যালেঞ্জ এবং সেটা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আর আমরা যদি সঠিক মনোভাব এবং আগ্রাসনের সঙ্গে খেলতে পারি, তবে আমাদের জন্য ভালো সুযোগ থাকবে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফল কখনোই সুনিশ্চিত নয়। তবে এটা আমাদের দল হিসেবে ভালো করতে সহায়তা করবে।’
অপরদিকে টাইগার অধিনায়ক সবাইকে এখনই হতাশ হতে না করেছেন।বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, অন্যান্য দল সহায়তা করছে তাঁদের, এখন নিজেদের কাজটি করার পালা। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হলে চলবে না বলেও মনে করেন তিনি।
সাকিব পেছনের ম্যাচের দিকে ফিরে তাকাতে চান না, ‘আমাদের ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। বিশ্বকাপে আগের ম্যাচে জিতলেন না হারলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। নির্দিষ্ট দিনে কে পারফর্ম করছে সেটিই ব্যাপার।’দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়তে দেখেছি, আবার নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে দেখেছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার দুর্দান্ত খেলেছে। এর মানে এসব ব্যাপার ক্রিকেটে হয়, বিশেষ করে বিশ্বকাপে। যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে চাই, সেভাবেই করব। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চাই। এরপর দেখব আমরা কোথায় আছি।’
ভারতের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা পেয়েও বাংলাদেশ হয়েছে ব্যর্থ। যেখানে অভিযোগ উঠেছিলো ওপেনারদের নিয়ে সেখানে ওপেনাররা তাঁদের কাজ যথাযথ ভাবে করে গেলেও দলের টপ অর্ডার এবং হৃদয়ের দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ।এই বিশ্বকাপে যারাই ম্যাচ বের করতে পেরছে তাদেরকেই দলগতভাবে খেলতে হয়েছে।যেমন শেষ ম্যাচে আফ্রিকান ব্যাটাররা ৪০০ রান করে দেয়ার পর বোলাররাও খুবই দ্রুত ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দিয়েছে।যার ফলে একটি বড় জয় পায় আফ্রিকা।এই ম্যাচেও আফ্রিকা চাইবে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় জয় নিয়ে নেট রানরেটে আরো এগিয়ে থাকতে।তবে বাংলাদেশ অবশ্যই চাইবে জয়ের ধারায় ফিরতে।শেষ ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফ্রিকা,নেদারল্যান্ডস,পাকিস্তান,শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়া।এখান থেকেও যে ভাল কিছু করা সম্ভব তাঁর ইংগিত সাকিব দিয়েছেন।
আফ্রিকা চেজিং করাতে কিছুটা দুর্বল।ডাচদের সাথে চেজ করতে গিয়েই ম্যাচ হেরেছে আফ্রিকা।তাই কালকে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে টস জিতে বোলিং করা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কাল দুপুর ২.৩০ মিনিটে আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।