শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সতর্ক থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিজ্ঞাপন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় পাঁচ উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১০২ মেডিকেল টিম ও আট হাজার ৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই (০১৭২৪০৯৬২৬৯) নম্বরে ফোন করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে। দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় পূর্ববতী সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) ৮ হাজার ৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালী জেলা ইউনিটের ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য ৩১৯ মেট্রিক টন চাল, ৬৬৩ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ৮ দশমিক ২২ মেট্রিক টন গো-খাদ্য ও নগদ ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত নোয়াখালী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।